১।চিকিৎসা :
অসুস্থ গবাদি প্রাণি ও হাঁস-মুরগি হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়। জরূরী ও জটিল ক্ষেত্রে রুগীর বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা বা অস্ত্রপাচার করা হয়।
২।হাঁস-মুরগীর প্রতিশেধক টিকা প্রদান:
হাসপাতাল থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে হাঁস-মুরগীর টিকা প্রদান করা হয়।
৩।গবাদি প্রাণির প্রতিশেধক টিকা প্রদান :
জনগন/খামারিদের যোগাযোগ সাপেক্ষে বিভাগীয় মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এলাকা ভিত্তিক বাদলা, তরকা, গলাফুলা, ক্ষুরা রোগ, ইত্যাদি সংক্রামক রোগের বিরূদ্ধে প্রতিশেধক টিকা প্রদান করা হয়।
৪। কৃত্রিম প্রজনন :
গবাদি প্রাণির জাত উন্নয়নের জন্য হাসপাতালে আনিত ডাকে আসা গাভিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে উন্নত জাতের বীজ প্রদান করা হয়। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে খামারিদের বাড়িতে কৃত্রিম প্রজনন সহকারীকে প্রেরণ করা হয়।
৫। উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং ও বীজ সরবরাহ:
অত্র দপ্তর থেকে আগ্রহী খামারিদেরকে বিনা মূল্যে উন্নতজাতের স্থায়ীঘাস (নেপিয়ার )এর কাটিং সরবরাহ করা হয়। প্রাপ্তি সাপেক্ষে শীতকালীন মৌসুমী ঘাসের বীজ সরবরাহ করা হয়।
৬। প্রযুক্তি হস্থান্তর :
অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ লাইভষ্টক রিসার্স ইনষ্টিটউট (বি এল আর আই ) থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারিদের মাঝে হস্থান্তর করা হয়। আগ্রহী খামারিদেরকে অফিস চলাকালিন সময় বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
৭। খামার নিবন্ধিকরণ :
তিনটি শংকর জাতের উন্নত গাভী অথবা পাঁচ লিটারের অধিক দুধ উৎপাদন শীল তিনটি গাভীর ক্ষেত্রে,দুইশতটির অধিক উন্নত জাতের হাঁস-মুরগীর ক্ষেত্রে,বিশটির অধিক ছাগল অথবা ভেড়া পালনকারীর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফর্মে বিনা মূল্যে নিবন্ধন করা হয়।
৮।রোগ নির্নয় :
সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব অথবা রোগ মহামারির ক্ষেত্রে ময়না তদন্তপূর্বক রোগ নির্নয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে রোগ অনুসন্ধানের জন্য আক্রান্ত গবাদিপ্রাণি ও হাঁস- মুরগীর নমুনা সংগ্রহ করে তা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।
৯। গর্ভ পরীক্ষা :
খামারীদের আগ্রহমাফিক এবং কোরবানীর পূর্বে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে আনিত সকল গাভীকে গর্ভ পরীক্ষা করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস